নিউজ ডেস্ক || চার বছরের একটি ছোট্ট শিশু অভিজিৎ পালের জীবন মাত্র ১০ টাকার ভাড়ার জন্য বিপন্ন হয়েছিল। বিশালগড় জাঙ্গালিয়া থেকে একজন অটো চালক শিশুটিকে অটোতে তুলে চড়িলাম নতুন বাজারে নামিয়ে দেয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশালগড় থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রসেনজিৎ দেবনাথ চড়িলাম নতুন বাজারে দাঁড়িয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আগামী দিনে এমন ঘটনা দেখলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৃহস্পতিবার সকালে চড়িলাম নতুন বাজারে শিশু অভিজিৎ পালকে একা ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় ব্যবসায়ী হরিমাধব দেবনাথ এবং বিমল দেবনাথের সন্দেহ হয়। তারা তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে তাদের দোকানে বসিয়ে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। শিশুটি জানায়, সে বিশালগড় জাঙ্গালিয়ার কারেন্ট অফিসের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। তার বাবা কাজল পাল ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। অভিজিৎ জানায়, সে ১০ টাকা জোগাড় করে অটোতে চড়ে চড়িলাম বাজারে এসেছে, তার বোন জামাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সে বাড়ির ঠিকানা জানে না।
হরিমাধব এবং বিমল দেবনাথের মানবিকতার কারণে শিশুটি বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পায়। তারা তৎক্ষণাৎ বিশালগড় থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ শিশুটির বোন জামাইকে খবর দিয়ে তাকে ঘটনাস্থলে আনেন। পরে পুলিশ শিশুটিকে তার বোন জামাইয়ের সঙ্গে বিশালগড় জাঙ্গালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সজাগতা এবং পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী। তবে অটো চালকের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে সবাই ক্ষুব্ধ। সাব-ইন্সপেক্টর প্রসেনজিৎ দেবনাথ বলেন, “একটি শিশুর জীবনের মূল্য ১০ টাকার ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
এই ঘটনা এলাকায় শিশু সুরক্ষা এবং দায়িত্বশীল আচরণের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।