নিউজ ডেস্ক || গতরাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে একটি প্রতিরোধমূলক অভিযান পরিচালনা করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’। মাত্র ২৫ মিনিটের এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ধ্বংস করা ঘাঁটিগুলির মধ্যে পাকিস্তানের সিয়ালকোটের সারজাল ক্যাম্প, মাহমুনা জোয়া ও মুরিদকের মারকাজে তায়্যেবা, বাহাওয়ালপুরের মারকাজে সুবহানাল্লাহ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাওয়াই নালা, মুজাফ্ফরাবাদের সাইয়্যদ না বিলাল, কোটলি গুলপুর, বিম্বার ও কোটলি আব্বাস উল্লেখযোগ্য। অভিযানটি রাত ১টা ৫ মিনিটে শুরু হয়ে ১টা ৩০ মিনিটে শেষ হয়।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেগুলি সন্ত্রাসবাদে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং বলেন, “এই অভিযানে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে, কোনো সামরিক বা বেসামরিক স্থাপনার ক্ষতি হয়নি। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ভবিষ্যতে যেকোনো দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে প্রস্তুত।”
পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, পহেলগাম হামলার তদন্তে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, যা লস্কর-ই-তইয়্যবার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি এই হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের উপর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দেন। মিস্রি বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এখন অত্যাবশ্যক।”
‘অপারেশন সিন্দুর’ ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রমাণ দিয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ও সরকার এই ধরনের হামলার উপযুক্ত জবাব দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।