নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরায় কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের একটি বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। গতকাল আমবাসা টাউন হলে কংগ্রেসের আদিবাসী সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, “বিজেপি নেতারা আদিবাসীদের গায়ের উপর প্রস্রাব করে।” এই অসাংবিধানিক ও আপত্তিজনক মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি জনজাতি মোর্চা।
আজো সকালে বিজেপি জনজাতি মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা সুদীপ রায় বর্মণের হোস্টেলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বিক্ষোভকারীরা হোস্টেলের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। তাঁদের দাবি, সুদীপ রায় বর্মণকে অবিলম্বে সমস্ত জনজাতি সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিজেপি জনজাতি মোর্চার এক কর্মী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “সুদীপ রায় বর্মণের মন্তব্য গোটা জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতি কটাক্ষ ও অপমানজনক। তিনি অসাংবিধানিক শব্দ ব্যবহার করে দেশের জনজাতিদের অবমাননা করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।”
অন্যদিকে, পুলিশ সুপার ডা. কিরণ কুমার জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, বিতর্কের মুখে সুদীপ রায় বর্মণ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আজকের ভাঙচুরের ঘটনায় জনজাতিদের প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। তবে এটা সত্যি যে বিজেপির মনে এসসি, এসটি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এক কর্মী জনসম্মুখে এক জনজাতির গায়ে প্রস্রাব করে। আমি গতকালের সম্মেলনে এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বক্তব্য রেখেছি।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপি জনজাতি মোর্চা সুদীপ রায় বর্মণের ক্ষমা দাবিতে অনড় থাকলেও, কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।