নিউজ ডেস্ক|| ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের পদত্যাগের পর ২০২৫ সালের উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের পরবর্তী প্রার্থী নির্বাচনের জন্য গভীর আলোচনায় নিমগ্ন, যখন কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ও কটাক্ষ ছুড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, দলটি এমন একজন প্রার্থী মনোনীত করতে চায় যিনি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, সংবেদনশীল এবং ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবেন। ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে এই নির্বাচন কেবল একটি পদ পূরণের বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্য ও জনগণের আস্থা অর্জনের একটি বড় সুযোগ বলেও বিবেচিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি সরকারের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। কংগ্রেসের এক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “বিজেপি যদি সত্যিই নিরপেক্ষ প্রার্থী চায়, তবে তাদের পছন্দে স্বচ্ছতা থাকা উচিত। আমরা দেখতে চাই এই নির্বাচন কীভাবে এগোয়।” এছাড়াও, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজে সংসদের উভয় কক্ষের (লোকসভা ও রাজ্যসভা) সকল সদস্য অংশ নেবেন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট পদ্ধতি ব্যবহৃত হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রার্থী নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে আরও স্পষ্টতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ধনখরের পদত্যাগের পর রাজনৈতিক মহলে যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তা ভারতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নির্বাচন শুধু উপ-রাষ্ট্রপতি পদ পূরণের জন্য নয়, বরং আগামী দিনে রাজনৈতিক সমীকরণ এবং জোটের গতিশীলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।