নিউজ ডেস্ক || জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা ক্রমশ নজর কাড়ছেন তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার অক্লান্ত প্রয়াসে। শুক্রবার উপরাষ্ট্রপতি সি. কে. রাধাকৃষ্ণনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে রাজধানী দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার করেন ড. সাহা। এই সাক্ষাৎগুলি কেবল সৌজন্যমূলক ছিল না, বরং এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে রাজ্যগুলির মধ্যে সহযোগিতা, উন্নয়ন এবং সমন্বিত অগ্রগতির নতুন বার্তা।
সাক্ষাতের মধ্যে ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধাম্মি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেকha গুপ্তা এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। এই বৈঠকগুলিতে আলোচিত হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের সুযোগ বিস্তারের সম্ভাবনা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য অভিন্ন কৌশল এবং অন্যান্য রাজ্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের বিষয়।ড. মানিক সাহা আগেই তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, “একবিংশ শতকে উন্নয়নের জন্য একক কোনো রাজ্যের প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগোতে হবে। অন্যান্য রাজ্যের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাই।” এই প্রতিবাদে প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর প্রাজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি, যা রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে উন্নয়ন ও জনকল্যাণের দিকে ইঙ্গিত করে।
আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রান্তিক রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরার অবস্থান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শেয়ার করেন যে, ত্রিপুরা কেবল একটি ছোট সীমান্তবর্তী রাজ্য নয়, বরং উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থান, বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং আগরতলা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংযোগের সম্ভাবনা—এসবের মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতি ও কূটনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এই উদ্যোগ, বলছেন সংশ্লিষ্ট তথ্যভিজ্ঞ মহল।
ড. মানিক সাহার এই কূটনৈতিক উদ্যোগ জাতীয় পর্যায়ে ত্রিপুরাকে সামনের সারিতে তুলে আনার পথ প্রশস্ত করছে, যা ভবিষ্যতে রাজ্যের উন্নয়নকে নতুন গতি প্রদান করবে।