নিজস্ব প্রতিনিধি || ত্রিপুরার সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, স্বেচ্ছাসেবক, আপদামিত্রসহ বিভিন্ন সংস্থা ও নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং প্রেক্ষাগৃহে অভয় মিশন ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে রাজ্যের ৮টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে, যার মধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী ও সিপাহীজলা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার ফলে ১৭ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ৮৮৯টি ত্রাণ শিবিরে ২ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নেন। বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন এবং ৫৮,৬৮৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনডিআরএফ টিম, হেলিকপ্টার ও এয়ার লিফটের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। এছাড়া, রাজ্য সরকারও ৫৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং বহিরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন তিনি। ইতিমধ্যে ৮৭ জন উদ্যোগপতি রাজ্যে প্রায় ৩,৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান।
অনুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক ড. বিশাল কুমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস, ত্রিপুরা অভয় মিশনের সভাপতি নির্মল দেব, সম্পাদক সুস্মিতা দে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রতীকী হিসেবে ১০ জন বন্যা দুর্গতের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।