নিউজ ডেস্ক || আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ। তাঁর চিন্তাধারা ও সাহিত্য আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। কবিগুরুর সাহিত্য ও দেশপ্রেমের চেতনাকে আগামী প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে। তবেই তাঁকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী – একাধারে শিল্পী, সাহিত্যিক, গল্পকার ও সমাজ সংস্কারক। তাঁর শারীরিক প্রয়াণ হলেও তাঁর সৃষ্টি ধ্রুবতারার মতো আমাদের মধ্যে বিরাজমান। যে কোনও সংকটকালে তাঁর চিন্তা ও চেতনা আমাদের পথপ্রদর্শন করে। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তি ছিল সমগ্র দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বভারতীর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের ভারতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
কবিগুরুর সাহিত্যকর্মের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি গল্প ও ৩৮টি নাটক রচনা করেছেন, যা আজও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাখী বন্ধন উৎসবের সূচনা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী মিশ্র সংস্কৃতির সংরক্ষণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এ বছর সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারে নতুন করে ১৯টি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যুক্ত করা হয়েছে। পুতুল নাচ, যাত্রা, নাটকের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বিকাশেও দপ্তর নিবেদিতভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথের জীবনী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বক্তব্য রাখেন রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।