নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার কমলপুর কেসি গার্লস ক্লাস টুয়েলভ স্কুলে একটি নতুন ক্রিকেট মাঠের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের যুব সমাজের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া অবকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের যথাযথ সম্মান ও সুযোগ প্রদান করছে, যা রাজ্যের যুবকদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, যার ফলে তাঁদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ কমে গিয়েছিল। তবে বর্তমান সরকার ক্রীড়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব না করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে খেলোয়াড়দের দক্ষতা বিকাশের সুযোগ করে দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের যুব সমাজের মধ্যে প্রতিভার কোনো অভাব নেই এবং তারা বর্তমানে জাতীয় স্তরে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করছে। রাজ্যের প্রতিটি উপবিভাগে একটি করে ক্রিকেট মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা দূরবর্তী এলাকা থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরির আশা জাগিয়েছে।
যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী তিনকু রায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের ক্রীড়া অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যে নয়টি সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মিত হয়েছে এবং ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও ক্রিকেট মাঠ নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব, ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুব্রত দে, উপ-সভাপতি উপনন্দ দেববর্মা এবং কমলপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন্দ্র দাস। এছাড়া, ছাত্রদের ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জন্য বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলিতে ১০০ জন শারীরশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং আরও ৩০০ জন নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রী কমলপুর ক্রিকেট মাঠে বেঙ্গল টাইগার্স এবং ত্রিপুরা ক্রিকেট একাদশের মধ্যে একটি টি-১০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে।
এই উদ্যোগ ত্রিপুরার ক্রীড়া জগতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে এবং রাজ্যের যুব সমাজকে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।