নিজস্ব প্রতিনিধি || ত্রিপুরায় কোটি কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডঃ) মানিক সাহা এখনও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আজ প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা।
সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী সাহা বলেন, “জমি কেলেঙ্কারি ত্রিপুরার একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়করা এ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। পরে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ এই ইস্যুতে সরব হন।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সিপাহীজলা জেলার ডিএম রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন, যেখানে ১৪০০ কানি জমির দুর্নীতির কথা উল্লেখ ছিল। চিঠিতে জমি মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অফিসার রত্নজিৎ দেববর্মা এবং সহকারী সিনিয়র কম্পিউটার কর্মী তাপস চৌধুরীর নামও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, চিঠি দেওয়ার ২২ দিনের মধ্যে ওই ডিএম-কে বদলি করে দেওয়া হয়।
শ্রী সাহা আরও জানান, সিপাহীজলা জেলায় দলিল ছাড়াই জমি হস্তান্তর, খাস জমিকে বরাদ্দকৃত জমি হিসেবে দেখানো এবং অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের জমিতে রূপান্তরের মতো একাধিক অবৈধ কার্যকলাপ চলছে। ডিএম তাঁর চিঠিতে এই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত ও অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, জমি মাফিয়ারা রেকর্ড কারচুপির চেষ্টা করতে পারে।
“গোটা রাজ্যে কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অতিসত্বর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্বলতা না থাকলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত,” বলেন শ্রী সাহা। তিনি স্পষ্ট জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্যজুড়ে বড় আন্দোলনে নামবে।