নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন হলো পুরাতন আগরতলার খয়েরপুরস্থিত চতুর্দশ দেবতার মন্দির প্রাঙ্গণে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা কৃষ্ণমালা মুক্তমঞ্চে এই উৎসব ও প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন। এই উৎসব রাজ্যের জাতি-জনজাতির মিশ্র সংস্কৃতির এক বৃহৎ মিলনস্থল হিসেবে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্ববোধের আবহ তৈরি করে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খার্চি পূজা সুখ, সমৃদ্ধি ও চেতনার প্রতীক। চতুর্দশ দেবতা ত্রিপুরার রাজপরিবারের কূলদেবতা এবং জনজাতিদের আরাধ্য। বর্তমানে এই পূজা সকল সম্প্রদায়ের কাছে সার্বজনীন। তিনি জানান, রাজ্য সরকার লুপ্তপ্রায় শিল্প ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে একটি কালচারেল হাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাত্রা ও নাট্যশিল্পকে বাঁচাতে বৃহৎ পরিসরে উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। গত এক বছরে সরকারিভাবে ৫০০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুতুল নাচের মতো ঐতিহ্য রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রাজ্যের জনজাতিদের সংস্কৃতি রক্ষায় সাংস্কৃতিক কর্মশালার জন্য এবারের বাজেটে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিভাবানদের জন্য সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় নানা কোর্স চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিধায়ক তথা খার্চি মেলা কমিটির চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের প্রদর্শনী স্টলের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক স্বপ্না দেববর্মা, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ঝর্ণারাণী দাস, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, এসপি কিরণ কুমার, জিরানীয়া মহকুমা শাসক অনিমেষ ধর প্রমুখ।
মেলা উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী কৃষ্ণমালা মুক্তমঞ্চ ও হাবেলি মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।