নিউজ ডেস্ক || ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র প্রধান ভি. নারায়ণন ঘোষণা করেছেন যে ২০২৫ সালকে ‘গগনযান বর্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বছরটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, গগনযান প্রকল্পের অধীনে এখন পর্যন্ত ৭,২০০-র বেশি পরীক্ষামূলক কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এবং প্রায় ৩,০০০ পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে।
নারায়ণন বলেন, “এই বছর আমরা তিনটি অমানবীয় মিশনের পরিকল্পনা করেছি। প্রথম অমানবীয় মিশন এই বছরেই উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত। আমাদের দল ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে।” তিনি আরও জানান, ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ‘ভ্যোমমিত্র’ নামে প্রথম অমানবীয় মিশন উৎক্ষেপণ করা হবে। এরপর আরও দুটি অমানবীয় মিশন হবে, এবং ২০২৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ অভিযানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসরো প্রধান এ বছরের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, “৬ জানুয়ারি ‘আদিত্য এল১’ মহাকাশযান থেকে এক বছরের বৈজ্ঞানিক ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত এখন সূর্য অধ্যয়নের জন্য উপগ্রহ স্থাপনকারী বিশ্বের চারটি দেশের মধ্যে অন্যতম। এই ডেটা বৈজ্ঞানিক মহলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।” তিনি স্পা-ডেক্স মিশনের সাফল্য নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন, যেখানে নির্ধারিত ১০ কেজি জ্বালানির পরিবর্তে অর্ধেক জ্বালানি ব্যবহার করে মিশনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুমোদিত গগনযান প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল মানুষকে মহাকাশে পাঠানো এবং দীর্ঘমেয়াদী মানব মহাকাশ অভিযান প্রযুক্তির বিকাশ। নারায়ণনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে ইসরো এই লক্ষ্য পূরণে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
ইসরোর এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে, যা ২০২৭ সালে প্রথম মানব মহাকাশ অভিযানের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করতে প্রস্তুত।