“প্রভু যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরণের স্মরণে গুড ফ্রাইডে পালন, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে মুখর রাজ্য”
নিউজ ডেস্ক || খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র দিন গুড ফ্রাইডে আজ রাজ্যজুড়ে গভীর ভক্তি ও ধর্মীয় আড়ম্বরে পালিত হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে প্রভু যীশু খ্রিস্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন। এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনটি স্মরণে রাজ্যের খ্রিস্টান সম্প্রদায় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে।
সকালে রাজ্যের বিভিন্ন গির্জা, বিশেষ করে ব্যাপটিস্ট চার্চে ধর্মীয় প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রার্থনা সভার মাধ্যমে দিনটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এই সভায় শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকলেই অংশগ্রহণ করেন। গির্জাগুলোতে পবিত্র বাইবেল পাঠ, ভক্তিমূলক সঙ্গীত এবং প্রভু যীশুর ত্যাগের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গুড ফ্রাইডের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন ধর্মীয় উদ্যোক্তারা। খ্রিস্টীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনটি যীশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ, মৃত্যু এবং পরবর্তীতে সমাধি থেকে পুনরুত্থানের স্মরণে পালিত হয়। পবিত্র সপ্তাহের অংশ হিসেবে ইস্টার সানডের আগের শুক্রবারে প্যাস্কাল ট্রিডামের সময় এই উৎসব পালিত হয়। শাস্ত্রীয় বিবরণী অনুযায়ী, যীশুকে সম্ভবত শুক্রবারে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল।
ইতিহাসবিদ ও ধর্মতাত্ত্বিকদের মতে, গুড ফ্রাইডের সময়কাল নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ এটিকে ৩৩ খ্রিস্টাব্দ বলে মনে করেন, আবার বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন বাইবেলীয় তথ্য, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এবং অমাবস্যার তিথি বিশ্লেষণ করে এটিকে ৩৪ খ্রিস্টাব্দ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এছাড়া, ক্রুসিফিকেশন ডার্কনেস অ্যান্ড একলিপস পদ্ধতির মাধ্যমে গুড ফ্রাইডের তারিখ ৩ এপ্রিল, ৩৩ খ্রিস্টাব্দ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।
রাজ্যের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানান, গুড ফ্রাইডে তাদের কাছে শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং প্রভু যীশুর ত্যাগ ও ভালোবাসার প্রতীক। এই দিনে তারা প্রার্থনা, উপবাস এবং ধ্যানের মাধ্যমে নিজেদের আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করেন।
গুড ফ্রাইডের এই পবিত্র মুহূর্তে রাজ্যের গির্জাগুলোতে ভক্তদের সমাগম এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য সকলের মনে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।