নিউজ ডেস্ক || অসমের গোয়ালপাড়া জেলার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্টে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তীব্র সংঘর্ষে একজন নিহত এবং এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পেছনে কংগ্রেস নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের ভূমিকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসম পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্টে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা লাঠি ও পাথর নিয়ে বন বিভাগ ও পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়, যাতে একজন নিহত এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মীও রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী শর্মা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের একদিন আগে ছয়গাঁওয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় গোয়ালপাড়া জেলার একাধিক ব্যক্তি, এমনকি একজন কংগ্রেস জেলা পরিষদ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। শর্মার দাবি, সভার পর কংগ্রেস নেতারা পাইকানে গিয়ে স্থানীয়দের উসকানি দিয়েছেন, যার ফলে পরদিন সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, “এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। অসম পুলিশ খতিয়ে দেখছে, রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়গের বক্তব্যের কোনও প্রভাব এই ঘটনায় ছিল কিনা। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, অতীতে বহুবার শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে, কিন্তু এবারের সংঘর্ষের পেছনে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যের ভূমিকা থাকতে পারে বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শর্মা বলেন, “আমরা দ্রুত কাজ করি। পাইকান এখন পুরোপুরি খালি।”
অসম পুলিশ এই ঘটনার পেছনের কারণ ও জড়িতদের সম্পর্কে গভীর তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।