আগরতলা || মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ দুপুরে গোর্খাবস্তিতে নির্মীয়মান বহুতলবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবনটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি এই ভবনটির নির্মাণকাজের বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এই প্রশাসনিক ভবনটির নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্য যেহেতু ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় রয়েছে, তাই এর নির্মাণ কাজে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহুতলবিশিষ্ট এই প্রশাসনিক ভবনটি নির্মিত হলে গোর্খাবস্তিতে অবস্থিত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসগুলি ছাড়াও আগরতলার অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন দপ্তরের অফিসগুলিকেও একই ছাদের নীচে নিয়ে আসা হবে। গোর্খাবস্তির অন্যান্য পুরোনো অফিসের জায়গাসমূহ পরবর্তী সময়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্মীয়মান এই প্রশাসনিক ভবনটিতে আধুনিক সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। বিদ্যুৎ ছাড়াও সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে এই ভবনটিতে। বাগিচার জন্য বর্জ্য জলকে পরিশোধন করে পুনরায় ব্যবহার করার ব্যবস্থাও রয়েছে এই ভবনটিতে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রশাসনিক ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে বিভিন্ন দপ্তরের অফিস থাকবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবে নিরাপত্তামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা। আগামী ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
বহুতলবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবনটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিতো এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার (আর অ্যান্ড বি) রাজীব দেববর্মা সহ অন্যান্য প্রকৌশলীগণ।