বিশ্রামগঞ্জে চোরের দলের হাত থেকে গবাদি পশু উদ্ধার, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক || সোমবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত চেছুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্ত তাঁত শিল্প সংলগ্ন ৮ নম্বর জাতীয় সড়কে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল ১২টি ছোট-বড় গবাদি পশু জাতীয় সড়ক দিয়ে হেঁটে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের সতর্কতায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
গ্রামবাসীরা রাতের নিস্তব্ধতায় গবাদি পশুদের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। চোরদের পিছু ধাওয়া করতেই তারা পশুগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ বিশ্রামগঞ্জ থানায় খবর দেন। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পশুগুলোকে জাতীয় সড়কের পাশে গাছে বেঁধে রাখে। সারারাত গ্রামের মানুষ পাহারা দিয়ে পশুগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
সোমবার সকালে পশুগুলোর মালিক ফরিদ মিয়া ও গৌরাঙ্গ দেবনাথ খবর পান। তাদের বাড়ি উত্তর চড়িলাম ফকিরামুড়া এলাকায়। তারা দ্রুত চেছুড়িমাই এলাকায় পৌঁছে গ্রামবাসী ও থানার সঙ্গে কথা বলে ১২টি গবাদি পশু ফিরিয়ে নেন। ফরিদ মিয়ার ১০টি এবং গৌরাঙ্গ দেবনাথের ২টি পশু ছিল এই দলে।
মালিকরা জানান, তারা সাধারণত পশুগুলোকে দড়ি দিয়ে বাঁধেন না। পশুগুলো বন-জঙ্গলে, জমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার রাতে পশুগুলো বাড়ি না ফেরায় তারা খোঁজাখুঁজি করলেও চিন্তিত হননি, কারণ প্রায়ই এক-দুই দিন পর পশুগুলো ফিরে আসে। তবে এই ঘটনায় গো-পালকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, চোরের দল পশুগুলোকে দূরে রাখা একটি গাড়িতে তুলে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের তৎপরতায় তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। পশুগুলো ফিরে পেয়ে মালিক ফরিদ মিয়া ও গৌরাঙ্গ দেবনাথ গ্রামবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের নিয়মিত টহল না থাকায় চোরের দল এমন সাহস পেয়েছে। বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং চোরদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এই ঘটনা গ্রামবাসীদের সতর্কতা ও ঐক্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে, গো-পালকদের নিরাপত্তা ও এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করার দাবি জোরালো হচ্ছে।