নিউজ ডেস্ক || ভারতের ইতিহাসে জরুরি অবস্থার ২১ মাস ছিল এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন, যা গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারকে নির্মমভাবে কেড়ে নিয়েছিল। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগে রাজধানী আগরতলার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক মক পার্লামেন্টে এ কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের জরুরি অবস্থার সময় পবিত্র সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে ক্ষমতার লোভে নির্লিপ্তভাবে হরণ করা হয়েছিল। এই অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন নারীরাও, যাঁদের উপর নানাভাবে নিপীড়ন চালানো হয়। তিনি বলেন, “ক্ষমতা ধরে রাখার পৈশাচিক লোভে মা-বোনদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি।”
নতুন প্রজন্মের কাছে জরুরি অবস্থার এই ভয়াবহতা তুলে ধরার লক্ষ্যে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি মহিলা মোর্চা এই মক পার্লামেন্টের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থার সময়কার নানা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ও নাগরিক অধিকারের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এই ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে আমাদের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের কঠিন সময় সম্পর্কে সচেতন করবে।”
অনুষ্ঠানে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেতৃবৃন্দ, দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। এই মক পার্লামেন্ট গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।