নিউজ ডেস্ক || ধলাই জেলার ডুম্বুর জলাধারে বৃহৎ পরিসরের পানীয় জল শোধন কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা। আজ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের চতুর্থ দিনে বিজেপি বিধায়ক রঞ্জিত দাসের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য দেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই পানীয় জল সরবরাহের জন্য ডুম্বুরনগর ব্লকের রানীরপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাদায়ানন্দ পাড়া ও নাইক্কাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রভুরাম এলাকায় দুটি প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে সাদায়ানন্দ পাড়া প্রকল্পটি মার্চ ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে, যা ৬৫টি পরিবারকে জল সরবরাহ করছে। অপরদিকে, প্রভুরাম প্রকল্পটি বিদ্যুৎ সংযোগের অপেক্ষায় রয়েছে এবং চালু হলে ৫৫টি পরিবার উপকৃত হবে।
ডুম্বুর জলাধারের সংরক্ষিত জলকে কেন্দ্র করে আরও একটি উদ্ভাবনী প্রকল্প রাইস্যাবাড়ি ব্লকের পশ্চিম পোটাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন নারায়ণ সর্দার পাড়ায় সফলভাবে চালু করা হয়েছে। বর্তমানে, এই প্রকল্প থেকে ৫৫টি পরিবার পানীয় জল পাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্ষাকালে জলাধারে আনুমানিক ২৮৬.৯ মিলিয়ন লিটার জল সংরক্ষিত থাকে, যা শুষ্ক মৌসুমে কমে ১৮২ মিলিয়ন লিটারে নেমে আসে। তবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম চালাতে কমপক্ষে ২০৯.৮ কোটি লিটার জলের প্রয়োজন হয়, যা শুষ্ক মৌসুমে সংকটের সৃষ্টি করে।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী জানান, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টারবাইন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অকার্যকর রয়েছে, যা মেরামতের পরিকল্পনা চলছে। কৃষি সেচের ক্ষেত্রে লিফট ইরিগেশন (এলআই) প্রকল্প ও পানীয় জল শোধন কেন্দ্রের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, গোমতী নদীর আশপাশের কৃষিজমি জলবিদ্যুৎ টারবাইনের মাধ্যমে প্রবাহিত জলের উপর নির্ভরশীল। সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।