নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক আয়োজিত ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ জুলাই, ২০২৫ তারিখে 2আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে একটি রাজ্যভিত্তিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন যে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, স্বাধীনচেতা এবং পরোপকারী ব্যক্তি। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম এবং তাঁর দর্শন ও ভাবধারা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে ড. মুখার্জি একটি আত্মনির্ভর সমাজ ব্যবস্থা চেয়েছিলেন, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বর্তমান ত্রিপুরা সরকারও অনুসরণ করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ড. মুখার্জি দেশ ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন এবং অখণ্ড ভারত চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর নতুন প্রজন্ম ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে পারছে, যা পূর্বে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জীবন দর্শন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অডিটোরিয়ামের বারান্দায় ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির কর্মজীবন বিষয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সামাজিক দেশসেবা প্রশাসনিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে আগরতলা টাউনহল প্রাঙ্গণে তাঁর প্রতিকৃতি স্থাপন ও নামকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জীবন, দেশপ্রেম এবং আদর্শ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, অখণ্ড ভারত গড়ার জন্য এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য তিনি সারাজীবন চেষ্টা করেছেন। রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আদর্শ, দর্শন, ভাবধারার প্রাসঙ্গিকতা দিন দিন প্রাধান্য পাচ্ছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান যে রাজ্যের ২৩টি মহকুমায় ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে এবং তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমী ও ভারতের একজন সুযোগ্য সন্তান।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, অডিটোরিয়ামে উপস্থিত স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।