নিজস্ব প্রতিনিধি || ‘তিপরা মথা’ প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য দেববর্মা ফের ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’-এর স্বপ্ন বিক্রির চেষ্টায় মেতে উঠলেন। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে TMYF-এর যুব সমাবেশে তিনি তাঁর চিরপরিচিত উগ্র জাতিগত রাজনীতির সুরই বাজালেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদ্যোত দাবি করেন, তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল দলের প্লেনারি সেশন আগরতলার বাইরে করার জন্য। কারণ, আগরতলা এখনও মূলত বাংলা ভাষাভাষীদের শহর। কিন্তু তিনি নিজেই এখানে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেন সরকার বা শহরের মানুষ এর বিরোধিতা করছে!
এদিনও তিনি ‘থান্সা’ (একতা)-এর ডাক দেন, যা আদতে IPFT বা CPI(M)-এর মতো দলগুলোর হাত থেকে তাঁর সমর্থকদের ধরে রাখারই কৌশল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। তিনি উদাহরণ দেন, চরিলামে মাত্র ৩৭% জনজাতি ভোটার থাকলেও ‘থান্সা’র জেরে সেখানে তারা জয়ী হয়েছে।
২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত ২০টি সংরক্ষিত আসন জিতে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে চান বলেও স্পষ্ট করেন প্রদ্যোত। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ ছিল তাঁর ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’ সংক্রান্ত বক্তব্য। পাণ্ডবদের কৌরবদের বিরুদ্ধে জয় এবং ভারতের স্বাধীনতার দীর্ঘ লড়াইয়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “সময় লাগবে, কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হবেই।”
তবে, তাঁর বক্তৃতা শোনার পর উপস্থিত সমর্থকদের মধ্যে প্রত্যাশিত উদ্দীপনা দেখা যায়নি। অনেকে হয়তো ইতিমধ্যেই তাঁর জাতিগত মেরুকরণের রাজনীতির ফাঁদ বুঝতে পেরেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। ত্রিপুরা ট্রাইবাল এলাকা ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ADC)-এর ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে প্রদ্যোতের এহেন বক্তব্যকে শুধুই রাজনৈতিক ‘ব্লাস্টার’ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।