নিউজ ডেস্ক || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে চালু হওয়া জল জীবন মিশনের অংশ আমৃত ২.০ প্রকল্পের আওতায় ত্রিপুরায় ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। সোমবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আগরতলা পুরনিগম এলাকায় নির্মিত ৪৫টি ডিপ টিউবওয়েল ও ২৭টি আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জলই জীবন। জল ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ মানুষকে বিশুদ্ধ পানীয়জলের আওতায় আনা। একটি পরিবারও যেন বাদ না পড়ে।” তিনি জানান, ত্রিপুরা জলবোর্ড গঠনের ফলে ইতিমধ্যে ১৬,২২৪টি পরিবারে পানীয়জলের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
“বর্তমান সরকার যা প্রতিশ্রুতি দেয়, তা বাস্তবায়ন করে দেখায়,” উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলার পাশাপাশি অন্যান্য মহকুমা শহরগুলিকে আধুনিক করতে টুডা-র মাধ্যমে টাউনশিপ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা ঘর, আগরতলাকে যানজটমুক্ত করতে ইস্ট-ওয়েস্ট রিং রোড এবং গোর্খাবস্তীতে পেন্ডুলাম আকৃতির আধুনিক সরকারি পরিষেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকদের দীর্ঘদিনের পানীয়জলের সমস্যার সমাধান হল। আগরতলাকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করার কাজও জোরকদমে চলছে।”
রাজ্য সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২৪-এর মধ্যে ত্রিপুরার প্রতিটি ঘরে নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া হবে। আমৃত ২.০ ও জল জীবন মিশনের সম্মিলিত প্রয়াসে ত্রিপুরা এই ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে স্থান করে নেওয়ার পথে এগোচ্ছে।


