নিউজ ডেস্ক || গ্রামীণ উন্নয়নের সুফল যাতে প্রকৃত অর্থে তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছয়, তার জন্য প্রকল্পের নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ ও সময়োপযোগী বাস্তবায়নের ওপর জোর দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। সোমবার প্রজ্ঞা ভবনে গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম যোগাযোগ যোজনা’ এবং ‘মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা ২.০’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের সুফল যাতে সত্যিকার অর্থে তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য সরকারি প্রকল্পগুলির নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ ও সময়োপযোগী বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও জানান, সরকারি কাজের গতি ও গুণগত মানে কোনো শৈথিল্য রাখা হবে না। এজন্য প্রতি পাক্ষিকভাবে তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করছেন এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘শেষ মাইল ডেলিভারি’ নীতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম ও পাহাড়ি এলাকার মানুষকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী করাই সরকারের লক্ষ্য। এদিন তিনি ‘গৃহপ্রবেশ’ কর্মসূচিতে অংশ নেন, গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের কৃতিত্বের লিফলেট প্রকাশ করেন এবং শ্রেষ্ঠ কাজের জন্য সাতটি আরডি ব্লক ও তিনটি জেলাকে সম্মাননা প্রদান করেন।
পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থায় জাতীয় পর্যায়ে সাতটি পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে নতুন দুটি যোজনার মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ত্রিপুরা আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।


