নিউজ ডেস্ক || আর্থিক সীমাবদ্ধতা যাতে কোনো মেধাবী ছাত্রছাত্রীর উচ্চশিক্ষার পথে বাধা না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে ত্রিপুরা সরকার ‘মুখ্যমন্ত্রী স্কলারশিপ ফর অ্যাচিভারস টুয়ার্ডস হায়ার লার্নিং (সি.এম.-সাথ)’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি নির্বাচিত ৩২ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতীকী চেক তুলে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্য যেন কোনো মেধা হারিয়ে না যায়”—এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই সি.এম.-সাথ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তিনি জানান, এই স্কলারশিপ সব সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়, তবে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দেবে এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে তুলবে। শিক্ষাকেই তিনি মানবজাতির মূল শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উক্তি উল্লেখ করে বলেন, “যুব সম্প্রদায়ই ভারতের ভবিষ্যৎ। তাদের গুণগত শিক্ষা দিতে পারলেই দেশ শ্রেষ্ঠত্বের পথে এগোবে।”
জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে রাজ্যে ‘নিপুণ ত্রিপুরা’, ‘বিদ্যা সেতু’, ‘মিশন মুকুল’, বিদ্যাজ্যোতি স্কুল, পি.এম.-শ্রী স্কুল, মেধাবীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ, ছাত্রীদের বিনামূল্যে সাইকেল, নতুন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, আই.আই.আই.টি. প্রতিষ্ঠার উদ্যোগসহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়বে। আমরা রাজ্যকে এডুকেশন হাবে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন.সি. শর্মা, আলোচনা করেন বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তা রাজীব দত্ত, এস.সি.ই.আর.টি. অধিকর্তা এল ডার্লং প্রমুখ।
সি.এম.-সাথ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মেধাবী অথচ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা এবার উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে—এই বার্তাই আজকের অনুষ্ঠান থেকে উঠে এল গুরুত্বের সঙ্গে।


