ত্রিপুরায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে তিপরা মথার কঠোর অবস্থান
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তিপরা মথার সাম্প্রতিক ঘোষণা। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মানছে না বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তিপরা মথা। দলের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২০ জুলাই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। তিনি সতর্ক করে জানান, এই হুঁশিয়ারিকে হালকাভাবে না নেওয়ার জন্য। পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ কৃতী সিং দেববর্মাও সমর্থন প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি। তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাও এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন।
রঞ্জিত দেববর্মা অভিযোগ করেন, জনজাতি কল্যাণের জন্য ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, এক বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। ভিলেজ কমিটির নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহাকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও কোনো ফল মেলেনি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তিপরা মথা বিজেপির শরিক হয়েও জনগণের জন্য কিছু করতে পারছে না। তাহলে জোটে থাকার কী দরকার?” তিনি স্পষ্ট করেন, তিপরা মথা মন্ত্রিত্বের লোভে জোটে যোগ দেয়নি, বরং জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনই তাদের লক্ষ্য।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রঞ্জিত। তিনি বলেন, শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে শপথ গ্রহণের আগের দিন রাতে মাত্র জানানো হয়েছিল। তিপরা মথার দুই বিধায়ককে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও, একজনকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও অপরজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মার সঙ্গে আলোচনার পরই সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিপরা মথার এই ঘোষণায় ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আগামী ২০ জুলাইয়ের বৈঠকের ফলাফল এই সংকটের দিকনির্দেশ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।