নিউজ ডেস্ক || ২৩ অক্টোবর ‘ত্রিপুরা বন্ধ’ চলাকালীন ধলাই জেলার শান্তিরবাজারে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ও বাড়ির মালিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। ঘটনায় আহত ১২ জনের চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে এলাকায় শান্তি ফিরেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা পুনর্গঠন এখনও চ্যালেঞ্জ।
সহিংসতা শুরু হয় বন্ধের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। একাধিক দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। আহতদের মধ্যে ছিলেন একজন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার শান্তিরবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ডা. মানিক সাহা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তিনি ঘোষণা করেন, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-দোকানের জন্য ৩ লক্ষ টাকা, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। “এ ধরনের ঘটনা স্থানীয় বিশ্বাস ও পারস্পরিক সহাবস্থানকে নড়বড়ে করে। দ্রুত পুনর্বাসন ও সংলাপের মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পুনর্বাসন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শান্তিরবাজার ধলাইয়ের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র। সহিংসতায় কয়েকদিন বাজার স্তব্ধ হয়ে পড়ে; ছোট ব্যবসায়ী ও দিনমজুররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি বাড়লেও আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রশাসনের সামনে এখন তিনটি চ্যালেঞ্জ: দ্রুত ক্ষতিপূরণ বিতরণ, সামাজিক সংলাপ জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ। রাজ্যের জন্য এটি সতর্কবার্তা—কোনো ইস্যু যাতে সহিংসতায় রূপ না নেয়।


