নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হলো ‘ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি এসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক’ (TSQAAF)-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের গুণগত মানের শিক্ষা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। টেট-এর মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি আনা হচ্ছে। এই নীতির মাধ্যমে অভিন্ন পাঠক্রম ও প্রশ্নপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতায় সমানভাবে অংশ নিতে পারে। TSQAAF-এর মাধ্যমে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার মান নিরূপণ করে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষকদের গতানুগতিক পড়াশোনার সীমানা ছাড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধ, জাতি গঠনের চিন্তা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ শেখাতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বগুরুর ভূমিকায় ফিরে আসার পথে এগোচ্ছে। ত্রিপুরা গত ২৩ জুন দেশের তৃতীয় পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেখানে ৯৫.৬% সাক্ষরতার হার অর্জিত হয়েছে। তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান, ছাত্রছাত্রীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, খেলাধুলা, সামাজিক কাজ ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হয়েছে। সিএম সাথ প্রকল্পে ২০০ জন ছাত্রছাত্রীকে ৭,০০০ টাকার বৃত্তি এবং মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনায় ১৪০ জন ছাত্রীকে বিনামূল্যে স্কুটি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, সাধারণ কলেজগুলিতে ছাত্রীদের ফি মকুব করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, এসবিআই ফাউন্ডেশনের সিইও সঞ্জয় প্রকাশসহ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। TSQAAF-এর সূচনা ত্রিপুরার শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল, যা রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে নিয়ে যাবে।