নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা রাজ্য মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ১৬১৫ জন শিক্ষক এবং ৬ জন চিকিৎসক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বিদ্যালয়গুলির জন্য ৯১৫ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষক (পিজিটি) এবং ৭০০ জন স্নাতক শিক্ষক (জিটি) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ১৬১৫ জন শিক্ষক নিয়োগের এই প্রক্রিয়া টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড অফ ত্রিপুরা (টিআরবিটি)-এর মাধ্যমে স্থির বেতনে পরীক্ষার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, “এই নিয়োগ শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”
উল্লেখ্য, কোভিড মহামারীর কারণে ২০২১-২২ সালের পর থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। এই নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা। এই সিদ্ধান্তকে ত্রিপুরার শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়াও, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে ৬ জন মেডিকেল অফিসার (ডেন্টাল) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্রিপুরা লোকসেবা আয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, “এই নিয়োগ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে সহায়ক হবে।”
রাজ্য বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির ত্রিপুরা ইউনিট একটি পোস্টে বলেছে, “মোদী-মানিক সাহা সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।”
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বেকার যুবকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।