নিউজ ডেস্ক || জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখনও কোনো বিশেষ নাগরিক তালিকা (এসআইআর) প্রকাশের নির্দেশ না দেওয়া সত্ত্বেও ত্রিপুরার গ্রামে-গঞ্জে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জন্মসনদসহ বিভিন্ন নথি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি’ আখ্যা দিয়ে আগামী ২৬ নভেম্বর আগরতলায় গণঅবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে দলটি।
বুধবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সাহা বলেন, “নির্বাচন কমিশন যখন কোনো নোটিশই দেয়নি, তখন সাধারণ মানুষকে কেন জন্মের কাগজ, ঠিকানার প্রমাণ, পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হচ্ছে? এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।” তিনি অভিযোগ করেন, এই কার্যকলাপে প্রশাসনের কোনো সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না, ফলে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে শান্তনু বলেন, ত্রিপুরাতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আগরতলার সার্কিট হাউস চত্বরে মহাত্মা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দু’ঘণ্টার গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচিতে কাগজপত্র দেখিয়ে অযথা হয়রানি বন্ধ, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবি জানানো হবে।
শান্তনু সাহা সতর্ক করে বলেন, অতিসত্বর এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিরোধী দল। ত্রিপুরায় নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত ইস্যু দীর্ঘদিন ধরে স্পর্শকাতর, এই অভিযোগ নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


