নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরায় ব্যাপক জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিধানসভায় বোমা ফাটালেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। তাঁর দাবি, রাজ্যের আটটি জেলায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এই দুর্নীতিতে জমি মাফিয়াদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরাও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাই গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার কাছে।
শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সুদীপবাবু বলেন, ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সিপাহীজলা জেলার ডিএম রাজ্য সরকারের কাছে জমি দুর্নীতির বিষয়ে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠিতে ১৪০০ কানি জমির অবৈধ লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে, জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট দফতরের দুই উচ্চপদস্থ কর্মচারীর নামও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, চিঠি পাঠানোর মাত্র ২২ দিনের মধ্যে ওই ডিএমকে বদলি করে দেওয়া হয়।
সুদীপ রায় বর্মণের অভিযোগ, ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় দলিল প্রমাণ ছাড়াই জমি হস্তান্তর, খাস জমিকে ব্যক্তিগত জমি হিসেবে দেখানো, জমির রেকর্ড কারচুপি–এর মতো একাধিক অবৈধ কাজ চলছে। তিনি আরও জানান, সিপাহীজলা জেলার ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অফিসার রত্নজিৎ দেববর্মা এবং সহকারী সিনিয়র কম্পিউটার কর্মী তাপস চৌধুরী এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস বিধায়ক অভিযোগ করেন, এই দুর্নীতির প্রসঙ্গ বিধানসভায় তুলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। অধিবেশন শুরুর আগেই তাঁর প্রশ্ন বাদ দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরায় দুর্নীতি ছেয়ে গিয়েছে।