ফটিকছড়ায় পামওয়েল চাষে নতুন উদ্যোগ, ত্রিপুরার উন্নয়নে কৃষকদের প্রধান ভূমিকা: মন্ত্রী রতন লাল নাথ
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলেন কৃষকরা। রাজ্য সরকার কৃষি, পর্যটন, সৌরশক্তি এবং বনসম্পদের মতো খাতগুলিকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে। আজ ফটিকছড়ার চা বাগানে পামওয়েল রোপণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এ কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মন্ত্রী জানান, ভারত বর্তমানে ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, ফলে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করতে হয়, যা বিপুল পরিমাণ অর্থের বহিঃপ্রবাহ ঘটায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে পামওয়েল চাষের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “কৃষকরা ত্রিপুরার উন্নয়নের মূল স্তম্ভ। কৃষি, পর্যটন, হর্টিকালচার, মৎস্য, সৌরশক্তি ও বনসম্পদের সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
মন্ত্রী জানান, সরকারের আমলে রাজ্যে প্রতি ব্যক্তির গড় আয় ১.৪০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১.৯৮ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৩.৭০ লক্ষ টাকা এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১৯.৮৬ লক্ষ টাকায় উন্নীত হবে। তিনি বলেন, “আমরা চাই কৃষক ও স্থানীয় মানুষের আয় দ্বিগুণ হোক।”
পামওয়েল চাষের সম্ভাবনা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের মাটি এই চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ লক্ষ্যে গোডরেজ অগ্রোভেট এবং পতঞ্জলির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গোডরেজ উত্তর, উনকোটি ও ধলাই জেলায় এবং পতঞ্জলি খোয়াই, পশ্চিম, গোমতী, দক্ষিণ ও সিপাহীজলা জেলায় কাজ করবে। এই কোম্পানিগুলো পামওয়েল চারা উৎপাদনের জন্য নার্সারি এবং প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পামওয়েল সরাসরি ফার্ম গেট থেকে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া, কৃষকদের সুবিধার জন্য একটি “ওয়ান-স্টপ সলিউশন সেন্টার” স্থাপন করা হবে।
এই উদ্যোগ ত্রিপুরার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।