নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেছেন, দেশ ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সব ক্ষেত্রেই ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান অনস্বীকার্য। আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ৫৮তম ইঞ্জিনিয়ার্স ডে ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইস্টার্ন জোনে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় ডাটা সেন্টার স্থাপন করছে এয়ারটেল, যা রাজ্যের ডিজিটাল অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক।
মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্তমন্ত্রী ডাঃ সাহা ইঞ্জিনিয়ার্স ডে উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ভারতরত্ন ড. এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার অবদানের স্মরণে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর এই দিনটি পালিত হয়। পানীয় জল সম্পদ ব্যবস্থাপনায় তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ত্রিপুরায় ত্রিপুরা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, ট্রিপল আইটি, ইকফাই ইউনিভার্সিটি সহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান রাজ্যের প্রযুক্তিগত শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ লক্ষ্য পূরণে ত্রিপুরাও ‘বিকশিত ত্রিপুরা ২০৪৭’ এর রোডম্যাপ প্রস্তুত করেছে। এই লক্ষ্যে ত্রিপুরা সারা দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এবারের বাজেটে প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বিল্ডিংয়ের ডিজাইন থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা অপরিহার্য।
মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের আরো দায়িত্বশীল ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যে ই-অফিস ব্যবস্থা চালু হয়েছে, যা ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিকের ব্যবহারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি জানান, ত্রিপুরায় এমএসএমই খাতে প্রায় ২.১ লক্ষ উদ্যোক্তা রয়েছেন। এয়ারটেলের ডাটা সেন্টার স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার জমি বরাদ্দ করেছে, যা ইস্টার্ন জোনে প্রথম। এছাড়া, ড্রোন ও এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি সাধনের সম্ভাবনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গুজরাটের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ ও জম্মু-কাশ্মীরের চেনাব ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতার প্রমাণ। ত্রিপুরার নিজস্ব পণ্য ব্যবহার করে মাথাপিছু আয় ও জিএসডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের আরো অবদান রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, এনআইটির ডিরেক্টর প্রফেসর শরৎ কুমার পাত্র, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের চেয়ারম্যান পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জি, পূর্ত দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব দেববর্মা সহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের প্রতিনিধি ও আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।