ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডস – লন্ডন-এর ইতিহাসে নাম লিখলো ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ।
নিউজ ডেস্ক || ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারেই সর্বাধিক ১৫০ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে এই অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ। আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স, ওয়েস্টমিনস্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এ স্বীকৃতি শুধু একটি প্রাপ্তি নয়, বরং আশা, দৃঢ়তা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। ত্রিপুরার মাটিতে যেখানে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত ছিল, সেখানে এই সম্মান সম্ভাবনা ও অগ্রগতির এক আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।
প্রথম একাডেমিক সেশনেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণ করেছে এই কলেজ। বিশেষত গ্রামীণ ও অর্ধ-শহুরে পরিবারের জন্য এটি স্বপ্নপূরণের রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৫০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।
এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর কাছে গর্বের বিষয়। অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও নাগরিক সবাই এখন এক বিশ্বের এই স্বীকৃতির গল্পের অংশীদার, যেখানে ত্রিপুরা শুধু ভারতের মানচিত্রে নয়, বিশ্বের মানচিত্রে উজ্জ্বল নাম স্থাপন করলো।
কলেজের সভাপতি মলয় পীট এই সাফল্যকে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফল বলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং এই সম্মানকে সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
এই সনদ কেবল একটি পুরস্কার নয়, বরং মনে করিয়ে দেয়—অটল ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যবসায় স্বপ্নকে সীমান্ত ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ অর্জন নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানবিকতা মিলেমিশে গড়ে তুলবে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।