নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর! এখন থেকে বহিঃরাজ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। রাজ্যে স্থাপিত হচ্ছে সর্বভারতীয় পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্র। শুক্রবার মোহনপুরে চিন্ময় হরিহর বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। আগরতলা, উদয়পুর এবং সাবরুমে এই কেন্দ্রগুলি স্থাপনের কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলির মানোন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টেট-এর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে। স্কুলগুলিতে নতুন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে স্মার্ট ক্লাস, আইসিটি ল্যাব এবং থিঙ্কারিং ল্যাব। এছাড়াও, বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলিতে গত বছরের তুলনায় এ বছর সাফল্যের হার ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ত্রিপুরা সম্প্রতি ৯৫.৬% সাক্ষরতার হার নিয়ে দেশের তৃতীয় পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যের মর্যাদা অর্জন করেছে, যা রাজ্যবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ৩০টি স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া গত মে মাসে ৫টি স্কুলের ভবন নির্মাণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ৮.৬৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ত্রিপুরার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিকীকরণের দিকে এগিয়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন, “আমরা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”