নিউজ ডেস্ক || কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ নয়াদিল্লিতে ছত্তিশগড়ে সাম্প্রতিক নকশালবিরোধী অভিযানে অসাধারণ সাফল্য অর্জনকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই ঐতিহাসিক অভিযানে সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক ও পলিটব্যুরো সদস্য বাসবরাজু ওরফে গগন্না-সহ ২৭ জন নকশাল নিহত হয়েছে। অমিত শাহ বলেন, “মোদী সরকার ভারতের মাটি থেকে নকশালবাদের সম্পূর্ণ অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
১৮ থেকে ২১ মে, ২০২৫ তারিখে ছত্তিশগড়ের অভ্যন্তরীণ অরণ্যাঞ্চল আবুজমাড়ে পরিচালিত এই অভিযানে ছত্তিশগড় পুলিশ এবং নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, কন্ডাগাঁও ও বিজাপুর জেলার ডিআরজি ইউনিট মিলিতভাবে অংশ নেয়। ২১ মে বোটার গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে সংঘটিত এনকাউন্টারে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়।
নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী আধিকারিকদের সম্মানিত করেন। সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ছত্তিশগড়ের পুলিশ মহাপরিদর্শক শ্রী অরুণ দেব গৌতম, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শ্রী বিবেকানন্দ, বাস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক শ্রী সুন্দররাজ, নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার শ্রী প্রভাত কুমার, বিজাপুরের পুলিশ সুপার শ্রী জিতেন্দ্র যাদব এবং নকশালমুক্ত বাস্তারের পুলিশ সুপার শ্রী শলভ সিং। তাঁদের নেতৃত্বে এই অভিযান নকশাল দমনের ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিষ্ণু দেব সাই, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় কুমার শর্মা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব শ্রী গোবিন্দ মোহন, গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক শ্রী তপন ডেকা-সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে অমিত শাহ লিখেছেন, “আমি সেই সাহসী জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অপেক্ষায় রয়েছি, যাঁদের সাহসিকতায় এই অপারেশন সফল হয়েছে। শীঘ্রই ছত্তিশগড়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করব।” এই সাফল্য নকশালবিরোধী লড়াইয়ে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর দৃঢ়তা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।