নিউজ ডেস্ক || ২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম—বাস্তবায়নের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা।
সোমবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র, পুলিশ, আইন, প্রসিকিউশন, ফরেনসিক, স্বাস্থ্য, ও কারা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। নতুন আইনসমূহের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের যেকোনো প্রান্ত থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা লিপিবদ্ধ করার বিধান কার্যকর করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টিও কার্যকর করা হবে। নতুন আইনের অধীনে, ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৯০ দিনের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করার বিধান কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষত নারী, শিশু ও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার সম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এফআইআর (e-FIR) দাখিলের সুবিধাকে বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নতুন আইনের আওতায় ৫১১টি ধারা পরিবর্তন করে ৩৫৮টি ধারা সংযোজিত হয়েছে। ৬টি ক্যাটাগরির অপরাধের ক্ষেত্রে কমিউনিটি সার্ভিসের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, এবং নতুন সংযোজিত ৩৩টি অপরাধের জন্য কারাবাসের শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে।
সাক্ষীদের সুরক্ষা বিধানের বিষয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। পুলিশ ও আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা ও পর্যালোচনার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের ফলে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কার আরও সুসংহত হবে এবং অপরাধ দমনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।