নিউজ ডেস্ক || ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সভাপতি নীতিশ কুমার দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোট ২৫ জন বিধায়ক। এনডিএ জোটের বিপুল জয়ের পর গঠিত এই সরকার বিহারের রাজনীতিতে নীতিশ কুমারের অপরিহার্যত্বের নতুন সাক্ষ্য বহন করছে।
শপথগ্রহণের আগে নীতিশ কুমার রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের কাছে ইস্তফা জমা দেন, কারণ বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ ২২ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। এর ফলে ১৮তম বিধানসভার পথ প্রশস্ত হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপির সম্রাট চৌধুরি, বিজয় কুমার সিংহ, দিলীপ জয়সওয়াল, মঙ্গল পাণ্ডে ও রাম কৃষ্ণ পাল যাদবসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা স্থান পেয়েছেন। জেডিইউ-র তরফে শপথ নিয়েছেন বিজয় কুমার চৌধুরি, বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব, শ্রীমতী লেশি সিংহ, অশোক চৌধুরি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে.পি. নাড্ডা এবং হরিয়ানা, অসম, নাগাল্যান্ডসহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ ২৪৩ আসনের মধ্যে ২০২টি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে বিজেপি ৮৯, জেডিইউ ৮৫, এলজেপি (রামবিলাস) ১৯, হাম ৫ এবং আরএলএম ৪টি আসন পেয়েছে।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে তিন দিনের বিধানসভা অধিবেশন শুরু হবে। এই অধিবেশনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন এবং নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
নীতিশ কুমারের টানা দশমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রত্যাবর্তন বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল মাইলফলক। এটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাই নয়, এনডিএ জোটের স্থায়িত্ব ও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের মজবুতিরও প্রতিফলন। আগামী দিনগুলিতে নতুন সরকারের সামনে থাকবে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা এবং জোটের ভারসাম্য বজায় রাখার দ্বৈত চ্যালেঞ্জ।


