আগরতলা || নেশা সামগ্রীর চোরাচালান বন্ধে রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছে। আগামীদিনে নজরদারি আরও বাড়বে। নেশা সামগ্রীর ব্যবহার এবং চোরাচালান বিষয়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরে প্রতিনিয়তই বৈঠক হচ্ছে। আজ বিধানসভায় রেফারেন্স পিরিয়ডে বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়ের এক নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা জানান।
মুখ্যমন্ত্রী সভায় জানান, গত ৩টি অর্থবছরে রাজ্যে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৫৮ কেজি গাঁজা, ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ১০০টি কফ সিরাপের বোতল, ২৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৯১টি নেশার ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ৩ বছরে এ সংক্রান্ত বিষয়ে ৫২টি মামলা হয়েছে এবং ৭০ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সভায় জানান, ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির অধীনে টার্গেটেড ইন্টারভেনশন এন.জি.ও-গুলির মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জন ব্যক্তি রয়েছেন, যারা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শিরাপথে মাদক গ্রহণ করেন। ত্রিপুরা এইডস নিয়ন্ত্রণ সমিতি ২২০টি স্কুলের সমস্ত অধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষক/ প্রধান শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণে এইচ.আই.ভি. / এইডসের উপর জেলা পর্যায়ের সংবেদনশীলতা কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে। এইচ.আই.ভি./এইডস সম্পর্কে সচেতনতার জন্য গত বছর আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারা রাজ্যে ৬৬৩টি গ্রাম, ৪০ ১টি স্কুল, ৩৬টি কলেজ এবং ১৪০টি জায়গায় প্রচার অভিযান করা হয়েছে। এবছর জানুয়ারি মাসে জনসচেতনতা তৈরির জন্য ২১টি এল.ই.ডি. স্ক্রিনের মাধ্যমে এইচ.আই.ভি. এইডস এবং ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক নেওয়ার কুফল বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। ধলাই এবং দক্ষিণ জেলায় ৩টি নতুন স্যাটেলাইট ওপিওয়েড সাবস্টিটিউশন খ্যারাপি কেন্দ্র কার্যকর করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশ্চিম জেলায় ১৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ওপিওয়েড সাবস্টিটিউশন থ্যারাপি কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ৭টি স্ট্যান্ড এলোন ওপিওড সাবস্টিটিউশন থ্যারাপি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের ১৯টি স্যাটেলাইট ওপিওড স্যাটেলাইট সাবস্টিটিউশন কেন্দ্র রাজ্যে কার্যকর রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ ব্যবহারকারীদের মূল ধারায় আনতে বিকল্প থ্যারাপি প্রদান করে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবছর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫ হাজার ৫২০ জন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ ব্যবহারকারী ওপিওয়েড সাবস্টিটিউশন থ্যারাপি কেন্দ্র থেকে পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে ৬১২ জন চিকিৎসা শেষ করেছেন এবং সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের মূল ধারায় ফিরে এসেছেন।