নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ রাজ্যের পেনশনারদের আর্থিক ক্ষতি রোধে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সি.সি.এস. পেনশন রুলস এবং ত্রিপুরা পেনশন রুলস ১৯৭২ অনুসারে পেনশনাররা তাদের মূল পেনশনের ৪০ শতাংশ বিক্রয় করে এককালীন আর্থিক সুবিধা পান। তবে, এই অর্থ ১৫ বছর অর্থাৎ ১৮০টি মাসিক কিস্তিতে ১২ শতাংশ সুদসহ কেটে নেওয়া হয়, যদিও বর্তমানে সুদের হার ৭ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মি. জিন্দালের হিসাব অনুযায়ী, পেনশন বিক্রয়ের অর্থ ১২৮ মাসের মধ্যেই পেনশনাররা পূর্ণ পেনশন পাওয়ার অধিকারী হন। কিন্তু ১৮০ মাস পর্যন্ত কিস্তি কাটার ফলে পেনশনাররা উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সুপ্রিম কোর্টের সি.ডব্লিউ.পি নং ২৪৯০ এবং ৮২২২/২০২৪ নম্বর আদেশে বলা হয়েছে, পেনশন বিক্রয়ের কিস্তি ১৮০ মাসের পরিবর্তে ১২৮ মাসে কাটতে হবে এবং যাদের ১২৮ মাসের বেশি সময় ধরে কিস্তি কাটা হচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আদালত স্পষ্ট করেছে যে, এই নির্দেশ রাজ্য সরকারের পেনশনারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ জানিয়েছেন, ত্রিপুরার প্রায় ৫০ হাজার সরকারি পেনশনার এই সমস্যার মুখোমুখি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে পেনশনাররা আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্তি পান এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালিত হয়।