নিউজ ডেস্ক || ‘তিপ্রা মোথা’র সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর আবারও তাঁর চিরপরিচিত নৈতিক উচ্চারণ ও স্বার্থান্বেষী রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। দলের একাংশ ও সাধারণ উপজাতি জনগণের মধ্যে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মুখে পড়ে প্রদ্যোত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
গতকাল এক পোস্টে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং উপজাতিদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে, দলীয় অন্দরমহলে মনে করা হচ্ছে, এটি মূলত ‘তিপ্রা মোথা’র ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ক্ষোভ থেকে দৃষ্টি সরানোর প্রচেষ্টা।
প্রদ্যোত দলের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ‘তিপ্রাসা’ জনগণের উন্নয়ন, ঐক্য (‘থান্সা’) এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে, দিল্লি থেকে সুবিধা আদায়ের তাঁর চেষ্টার কথা তুলে ধরে দলের অভ্যন্তরীণ অসহযোগিতার কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘‘সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ছাড়া কেউ সুখী হতে পারে না, অর্থ কখনো শান্তি আনতে পারে না।’’ পাশাপাশি, দলীয় শাসনাধীন আদিবাসী স্বশাসিত পরিষদে (ADC) দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন।
যদিও এখনো ‘তিপ্রা মোথা’র কোনো শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেননি, তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রদ্যোতের নেতৃত্বের ধরন এবং পারিবারিক স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতির কারণে দলে তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। এক গোপনীয় সূত্র বলেছে, ‘‘এখনই প্রকাশ্যে বিদ্রোহ না হলেও সময় আসছে, যখন দলে বড়সড় আন্দোলন দেখা যাবে। উপজাতিরা বুঝতে পারছেন, তাঁদের অস্তিত্ব এখন আর কোনো সংকটে নেই, বরং ভবিষ্যতে তাঁদের অবস্থা আরও উন্নত হবে। ফলে, প্রদ্যোতের ফাঁকা বক্তৃতা আর তেমন প্রভাব ফেলছে না। শীঘ্রই তিনি এর ফল ভোগ করবেন।’’