- রেল খাতে উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী সমস্তিপুর-বাছওয়ারা রেললাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং দর্ভাঙ্গা-সমস্তিপুর ডাবলিং প্রকল্পের অংশ হিসেবে দর্ভাঙ্গা-থালওয়ারা ও সমস্তিপুর-রামভদ্রপুর রেললাইন ডাবলিং প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এছাড়া, পাটলিপুত্রায় ভান্ডে ভারত ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অবকাঠামো, ভাটনি-ছাপরা গ্রামীণ রেললাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং এবং দর্ভাঙ্গা-নরকটিয়াগঞ্জ রেললাইন ডাবলিং প্রকল্পের (৪,০৮০ কোটি টাকা) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পগুলি উত্তর বিহারের সংযোগ বাড়াবে এবং ট্রেনের গতি ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
- সড়ক অবকাঠামো: এনএইচ-৩১৯-এর আরা বাইপাসের ফোর-লেনিং এবং পারারিয়া থেকে মোহানিয়া পর্যন্ত ফোর-লেন সড়ক (৮২০ কোটি টাকা) উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া, সরওয়ান থেকে চাকাই পর্যন্ত এনএইচ-৩৩৩সি-র দুই-লেন সড়ক উদ্বোধন করা হবে, যা বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- তথ্যপ্রযুক্তি: দর্ভাঙ্গায় নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপিআই) এবং পাটনায় অত্যাধুনিক ইনকিউবেশন সুবিধার উদ্বোধন করা হবে। এগুলি তথ্যপ্রযুক্তি, স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
- মৎস্য খাত: প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন মৎস্য হ্যাচারি, বায়োফ্লক ইউনিট, অলঙ্কারিক মৎস্য চাষ এবং মৎস্য খাদ্য মিল। এই প্রকল্পগুলি গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।
- অমৃত ভারত ট্রেন: চারটি নতুন অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে, যা রাজেন্দ্রনগর টার্মিনাল-নয়াদিল্লি, বাপুধাম মোতিহারি-দিল্লি, দর্ভাঙ্গা-লখনউ এবং মালদা টাউন-লখনউ রুটে চলাচল করবে।
- গ্রামীণ উন্নয়ন: দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনার অধীনে ৬১,৫০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য ৪০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের ১২,০০০ সুবিধাভোগীদের গৃহপ্রবেশের চাবি হস্তান্তর ও ৪০,০০০ সুবিধাভোগীদের জন্য ১৬০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
- তেল ও গ্যাস: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ভারত পেট্রোলিয়ামের সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের (১,৯৫০ কোটি টাকা) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এছাড়া, দুর্গাপুর-কলকাতা প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন (১,১৯০ কোটি টাকা) জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হবে, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্পের অংশ।
- বিদ্যুৎ খাত: দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজেশন (এফজিডি) সিস্টেম (১,৪৫৭ কোটি টাকা) উদ্বোধন করা হবে, যা পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে অবদান রাখবে।
- রেল অবকাঠামো: পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন ডাবলিং প্রকল্প (৩৯০ কোটি টাকা) উদ্বোধন করা হবে, যা জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার শিল্পাঞ্চলের সংযোগ উন্নত করবে।
- সড়ক অবকাঠামো: সেতু ভারতম কর্মসূচির অধীনে টপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে দুটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ (৩৮০ কোটি টাকা) উদ্বোধন করা হবে, যা দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক হবে।
এই প্রকল্পগুলি বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারত’র স্বপ্নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।