নিউজ ডেস্ক ।। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিপুরায় প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সকালে প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজ উপকৃত হবে, এবং এই কাজে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বন দপ্তরের প্রধান সচিব রবীন্দ্র কুমার শ্যামল বৃক্ষরোপণ ও তার সংরক্ষণে জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর জোর দেন। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ সবসময় মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি শব্দ, বায়ু এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অধিকর্তা মহেন্দ্র সিং, এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব ড. বিশু কর্মকার।
ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সহযোগিতায় এবছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অবসান’। এই লক্ষ্যে ৩ জুন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৪ জুন সুকান্ত একাডেমিতে শিশুদের জন্য ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতা এবং ‘বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরি’ বিষয়ে বিদ্যালয় স্তরের মডেল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, ‘এক পেড় মা কে নাম’ কর্মসূচির অধীনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০০টিরও বেশি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
আজ সকালে সুকান্ত একাডেমি থেকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা নিয়ে একটি গণসচেতনতামূলক পদযাত্রা বের হয়। মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা এই পদযাত্রার উদ্বোধন করেন। আগরতলার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পদযাত্রাটি পুনরায় সুকান্ত একাডেমিতে ফিরে আসে। পাশাপাশি, একটি ট্যাবলোর মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা নিয়ে একটি নাটিকা মঞ্চস্থ করা হয়।
এই কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে ত্রিপুরায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।