নিজস্ব প্রতিনিধি || আজ চৈত্র মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে রাজ্যের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বারুণী স্নান করেছেন। রাজ্যের সর্বত্র এই পূণ্য উৎসবের আবহ পরিলক্ষিত হয়েছে। শাস্ত্র মতে, এই স্নান দ্বারা বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানের যে পূণ্যফল, তা লাভ করা যায়। হাওড়া নদীর প্রতাপগড় রাম ঠাকুর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সকাল থেকেই ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার পরিবেশ লক্ষ করা গেছে।
স্নানের পাশাপাশি পূর্ব পুরুষের উদ্দেশ্যে পিন্ডদান করতে দেখা গেছে অনেককেই। বারুণী তিথি এবং শতভিষা নক্ষত্র যোগে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা গঙ্গার অপর নাম বারুণী মনে করে এই দিন স্নানকে বিশেষ পূণ্যজনক বলে শ্রদ্ধা করে থাকেন। হিন্দু ধর্মের মতে এই স্নান জীবনের পঙ্কে পঙ্কিল মানুষকে পাপ মুক্ত করে তোলার পথে সহায়ক।
ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মেনে বাঙালিরা বারুণী স্নানে অংশগ্রহণ করেছেন এই পুণ্য লাভের আশায়। এটি প্রমাণ করে যে বারুণী স্নান শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেও এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।