নিজস্ব প্রতিনিধি || বিদ্যুৎ নিগমের আউটসোর্সিং কর্মী তাপস নমঃ দাসের মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে জিবি হাসপাতাল চত্বরে। কিছুদিন আগে কাজের সময় উচ্চতা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন তাপস। তাকে দ্রুত জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তিনি প্রাণ হারান। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সহকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
তাপসের সহকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, যে বেসরকারি সংস্থার অধীনে তিনি কাজ করতেন, তারা দুর্ঘটনার পর কোনো সহযোগিতা করেনি। চিকিৎসা খরচ থেকে শুরু করে ক্ষতিপূরণের বিষয়েও সংস্থাটি উদাসীন ছিল বলে দাবি তাদের। একজন বিদ্যুৎ কর্মী সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু বেতন অত্যন্ত কম। গাড়ি ভাড়া, সংসার খরচ মিলিয়ে জীবন চালানো কঠিন। দুর্ঘটনা ঘটলে কোম্পানি পাশে দাঁড়ায় না। আজ তাপসের সঙ্গে যা হলো, কাল আমাদেরও হতে পারে।”
রবিবার সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে জড়ো হন বিদ্যুৎ কর্মীরা। মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি তখন আরও উত্তপ্ত হয়, যখন বিক্ষোভকারীরা নিয়োগকারী সংস্থার এক আধিকারিককে ধরে গণপিটুনি দেন। তাদের প্রধান দাবি—তাপসের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, স্থায়ী চাকরি এবং ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত।
উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎ অফিস চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাপসের এই মৃত্যু প্রশ্ন তুলেছে আউটসোর্সিং কর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে, যা এখন তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।