নিজস্ব প্রতিনিধি || বিশালগড় থানাধীন নবীনগর এলাকায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছেন এক গৃহবধূ ও তার ১৬ বছরের কিশোরী কন্যা। ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবন পরকীয়ার আগুনে ছারখার হয়ে গেছে। অভিযুক্ত স্বামী কাবিল মিয়া, তার ভাসুর অহিদ মিয়া এবং দেবর ফরহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধভাবে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে নবীনগরের কাবিল মিয়ার সঙ্গে সামাজিকভাবে বিবাহ হয় রুমা আক্তারের। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু কাবিল মিয়া পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় শুরু হয় রুমার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। এমনকি সন্তানরাও তার অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে রুমা তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি দেখেন, কাবিল অবৈধভাবে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন এবং নতুন স্ত্রীকে ঘরে এনেছেন। এর প্রতিবাদ করায় কাবিল, অহিদ ও ফরহাদ সঙ্ঘবদ্ধভাবে রুমার উপর হামলা চালায়। লাঠি দিয়ে আঘাতের ফলে রুমার বাম হাত ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়, রুমার ১৬ বছরের কিশোরী কন্যাকেও প্রচণ্ড মারধর করা হয়। রুমার অভিযোগ, অহিদ ও ফরহাদ তার কন্যার গায়ে হাত তোলার মতো জঘন্য কাজেও দ্বিধা করেনি।
প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। রুমা জানিয়েছেন, তিনি এই নৃশংস ঘটনার বিচার চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।