নিজস্ব প্রতিনিধি || সিপাহীজলার বিশ্রামগঞ্জের বিবেকানন্দ পল্লী রাজকুমার পাড়ায় এক চাঞচল্যকর ঘটনায় রেখা দেববর্মা নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতার স্বামী রাহুল দেববর্মা, যিনি ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে একজন, এই ঘটনায় সন্দেহের তীরে আটক হয়েছেন। পুলিশ তাকে বিশ্রামগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, রেখা দেববর্মার মৃতদেহ তার নিজ বাড়িতে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর এবং বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি অজিত দেববর্মার নেতৃত্বে পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহটি প্রাথমিক তদন্তের জন্য বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃতার বাবার পরিবারের অভিযোগ, রাহুল দেববর্মা পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী রেখাকে হত্যা করেছেন। তাদের দাবি, রাহুলের এক অবৈধ সম্পর্কের জেরে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক অশান্তি দেখা দিত। এই দম্পতির ১২ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে অঙ্কিত দেববর্মা টাকারজল নবোদয় স্কুলে পড়াশোনা করে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং পুরো এলাকায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে।
সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনার গভীর তদন্ত শুরু করেছি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। অভিযুক্ত রাহুল দেববর্মাকে আটক করা হয়েছে এবং তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সব দিক বিবেচনা করে নিরপেক্ষ তদন্ত করছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয়রা এই ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।