নিউজ ডেস্ক || ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর উত্তেজনা চরমে উঠেছে। জম্মুর পুঞ্চ-রাজৌরি, মেন্ধর এবং ভিম্বর গলি সেক্টরে ভারী কামানের গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনার আর্টিলারি হামলার জবাবে সমান তীব্রতায় পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে গুরুতর সংঘাতের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।
সামরিক সূত্র এবং পাকিস্তানি সাংবাদিকদের শেয়ার করা ভিডিও অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা (আইএএফ) বাহাওয়ালপুর ও আশপাশের এলাকায় লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) প্রশিক্ষণ শিবির লক্ষ্য করে সমন্বিত বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ৮টি সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই এবং ৪টি রাফাল জেট এই অভিযানে অংশ নিয়ে ব্রহ্মোস এনজি এবং স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে।
এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এলওসি-র কাছে পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে টাইমস নাও। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ এখনও পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ শাখা আইএসপিআর নিশ্চিত করেছে যে ভারত তাদের ভূখণ্ডে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। জিও নিউজের বরাতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধ্রি জানিয়েছেন, ভারত কোটলি, বাহাওয়ালপুর এবং মুজাফফরাবাদে হামলা চালিয়েছে, যাকে পাকিস্তান “কাপুরুষোচিত আগ্রাসন” হিসেবে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, এই হামলায় বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করা হয়েছে, যার ফলে শিশুসহ একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী “প্রতিটি নিরীহ প্রাণের জন্য প্রতিশোধ” নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুধুমাত্র সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য চালানো হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক সম্পদ বা বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করা হয়নি।
দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সংযম এবং অবিলম্বে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সংঘাত দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশেষজ্ঞদের মতে উভয় দেশের নেতৃত্বকে অবশ্যই কূটনৈতিক পথে সমাধানের দিকে এগোতে হবে।