নিউজ ডেস্ক || ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোনিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনার পর জয়শঙ্কর এক্স-এ লিখেছেন, “আজ সকালে মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়েই পরিমিত এবং দায়িত্বশীল ছিল, এবং এখনও তা-ই রয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে জোর দিয়ে সরাসরি কূটনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক সংলাপের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।” রুবিও পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গেও ফোনে কথা বলে সংযম ও কূটনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
এই আলোচনার পটভূমিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বহু বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি সীমান্তে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেসামরিক এলাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, টানা দ্বিতীয় রাতে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত সফল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং কৌশলগত পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
সূত্রের দাবি, ভারত পাকিস্তানের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি—নূর খান, মুরিদ, রফিকি এবং একটি গোপন স্থানে—নির্ভুল হামলা চালিয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ইসলামাবাদ ও লাহোর সহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানও পাল্টা হামলায় ভারতীয় অবস্থান লক্ষ্য করে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার একটি ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম ভ্যালি ও শিয়ালকোটে ভারত রাতারাতি পাল্টা হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ও ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে বলে প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে। বিশেষ করে জম্মু অঞ্চলের কাছে ড্রোন উৎক্ষেপণ চক্রকে নিশানা করা হয়েছে।
এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।