নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার আরকে নগরস্থিত কলেজ অব ভেটেরিনারি সায়েন্সেস অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি-র ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা ভেটেরিনারি কলেজকে সারা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যকে দুধ ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দুধ উৎপাদনে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, আর ডিমের মাথাপিছু প্রাপ্যতায় প্রথম। মাংস উৎপাদনে ইতিমধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিকাঠামোগত দিক থেকে এই ভেটেরিনারি কলেজ অন্য মেডিকেল কলেজের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ভেটেরিনারি সায়েন্স হিউম্যান সায়েন্সের চেয়ে আরও জটিল। ছাত্রছাত্রীদের প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়।” তিনি কলেজের ফ্যাকাল্টি স্বল্পতা পূরণে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং আসন সংখ্যা ১-২ থেকে বাড়িয়ে ৬৬-এ উন্নীত করার কথা উল্লেখ করেন। “লাইভস্টকের সঙ্গে গ্রামীণ জীবনের উন্নয়ন সরাসরি যুক্ত। এআই ও ফাইভজি যুগে ছাত্র-ফ্যাকাল্টিদের আপডেট থাকতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
রাজ্যের পশুসম্পদ উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে ডাঃ সাহা জানান, মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গো-ধন প্রকল্প, প্রাণী পালক সম্মান নিধি (প্রতি বেনিফিশিয়ারি ৬,০০০ টাকা), ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসা ইউনিট, সবুজ প্রাণী খাদ্য উন্নয়ন প্রকল্প (২৮৬ হেক্টর জমি), মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী সম্পদ যোজনা (হাঁস-মুরগি পালন) চালু হয়েছে। ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫-এ ৮,০০০-এর বেশি পরিবার উপকৃত। ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্টের অধীনে ১৫ মে ২০২৫-এ বামুটিয়ায় ৪০,০০০ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র উদ্বোধিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ বাজেটে মিনি মোবাইল ইউনিটের জন্য ৪.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
তিনি আরও বলেন, “এই কলেজ যেন শুধু ভারতে নয়, বিশ্বে সুনাম অর্জন করে।” এলাকায় সিজা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠছে, আগামী ৫ তারিখ ভূমিপূজন হতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস, প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শ্যামল দাস, দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, অধিকর্তা ড. নীরজ কুমার চঞ্চল, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ পূরবী বর্মন প্রমুখ।


