নিউজ ডেস্ক || কের চৌমুহনীস্থিত শিব-কালী মন্দিরের ৩২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ানো এবং একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্প্রীতিই হল ধর্মের মূল বক্তব্য। রাজ্য সরকার মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানে সর্বদা সচেষ্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজে এখন নাস্তিকতার অবসান ঘটে আস্তিকতার পরিবেশ ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। ত্রিপুরা সরকারও এই দিশায় কাজ করে চলেছে। উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া, জাতি-জনজাতিদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সংরক্ষণে আন্তরিক প্রচেষ্টা চলছে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত হয়েছে, যা সারা দেশে সমাদৃত।
মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কের চৌমুহনীতে একসময় কের পুজো অনুষ্ঠিত হত, এবং পরবর্তীকালে এখানে শিব-কালী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়, যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। তিনি এই কল্যাণকর উদ্যোগের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে প্রার্থনা করেন এবং শেষে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিষ ভট্টাচার্যসহ অনেকে।


