নিজস্ব প্রতিনিধি || চড়িলাম চেছুড়িমাই গ্রামের চ্যাটার্জি কলোনি এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক চিৎকারে আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠেছে। গর্ভধারিণী মা জাহানারা বেগম ও পিতা ইয়াকুব আলীর কান্নায় ভারী হয়েছে গ্রামের পরিবেশ। তাঁদের একমাত্র ছেলে সালমান খান, যিনি সাত বছর আগে কর্মসূত্রে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন, গতকাল বুধবার বিকেল তিনটায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এক মালয়েশিয়ান মহিলা তাদের ভাষায় জানিয়েছেন, সালমানের দেহ মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে রয়েছে। ভাষা না বোঝার কারণে সালমানের মা-বাবা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে একজন বাংলাদেশী প্রবাসীর মাধ্যমে তাঁদের এই দুঃসংবাদ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সালমানের নিয়োগকর্তা জানিয়েছেন, তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হবে। কিন্তু গরিব কৃষক পরিবারের পক্ষে এই বিপুল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা অসম্ভব।
জাহানারা বেগম ও ইয়াকুব আলী অসহায়ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন, যাতে তাঁদের ছেলের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে এনে ইসলামী রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সালমান ছিলেন পরিশ্রমী ও পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে গোটা গ্রাম শোকাচ্ছন্ন।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সালমানের পরিবার এখন শুধু অপেক্ষায়, তাঁদের ছেলের শেষ যাত্রায় তারা পাশে থাকতে পারেন।