নিউজ ডেস্ক || দুর্নীতির অভিযোগে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে মেলাঘর খাস চৌমুহনী ঘোষপাড়া। গত তিন মাস ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বঙ্ক বিহারী অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টার। মিড-ডে মিল থেকে শুরু করে গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ—সমস্ত পরিষেবা কার্যত অচল। সেন্টারের মূল ফটকে ঝুলছে তালা, আর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে গুরুতর প্রশ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ৩ এপ্রিল থেকে সেন্টারটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। এর আগে মার্চ মাস থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মিড-ডে মিল পরিষেবা। হেল্পার নিয়োগে স্বজনপোষণ, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী বণ্টনে অনিয়ম এবং নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাব—এই সব অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সেন্টারের জমিদাতা পরিবার জানিয়েছে, তাদের কাউকে চাকরি না দিয়ে বহিরাগত ব্যক্তিকে হেল্পার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও, পুষ্টিকর খাদ্য বণ্টনে গাফিলতির কারণে এলাকার বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারের শিক্ষক রেহনা বেগম এবং হেল্পারকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। স্থানীয় স্তরে ইতিমধ্যেই তাঁদের সেন্টারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে রেহনা বেগম বলেন, “আমি বারবার দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” তবে প্রশাসনের তরফে এখনও কেউ ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি, যা এলাকাবাসীর ক্ষোভকে আরও উসকে দিচ্ছে।
স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।